বিশ্বব্যাপী ৭০টি করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আর এরই মধ্যে তিনটি ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে পরীক্ষমূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের কাজ খুব দ্রুত গতিতে চলছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, হংকংয়ের ক্যানসিনো বায়োলজিক্স ও বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির তৈরি একটি ভ্যাকসিনের কাজ সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে। এটি এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। আর দু’টি তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তার মধ্যে একটি তৈরি করেছে ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালস আর একটি তৈরি করেছে মার্কিন ড্রাগ গবেষকরা। এই দু’টি ভ্যাকসিনের মানুষের শরীরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়েছে। তবে এখনো প্রথম পর্যায় শেষ করতে পারেনি।
বড়-ছোট ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আর ভ্যাকসিনই ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ইনক ও সানোফির ভ্যাকসিনও প্রি-ক্লিনিকাল পর্যায়ে রয়েছে।
মারণ ভাইরাস করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। ড্রাগ গবেষকরা ও ওষুধ শিল্প আশা করছে আগামী বছরের মধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আসবে। তবে একটি ভ্যাকসিন তৈরিতে সাধারণত সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ বছর। আর এই কাজটিই আগামী বছরের মধ্যে শেষ করতে যাচ্ছেন তারা।
Copyright © 2023 বর্ণ টিভি | Design & Developed By: ZamZam Graphics