সৌদি আরব থেকে খলিল চৌধুরি:সৌদি আরবের মদিনা ও জেদ্দায় একদিন ব্যবধানে গলায় ফাঁসি দিয়ে দুইজন বাংলাদেশি আত্মহত্যা করেছেন।
গত ২৯ জানুয়ারি বুধবার জেদ্দার হাই আল চবিল এলাকায় বাসার বারান্দায় ঘরের ছাদের খুঁটির সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে রুহুল আমিন (৩৭) নামে এক বাংলাদেশি আত্মহত্যা করেন।
রুহুল আমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞারামপুর থানার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত্যু আব্দুল আউয়ালের একমাত্র সন্তান।
এদিকে ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার পবিত্র মদিনার পাশে আমবরিয়া নামক জায়গায় নিজ বাসার ভেতরে গলায় ফাঁসি দিয়ে কাশেম (২৬) নামে আরেক বাংলাদেশি আত্মহত্যা করেছেন। কাশেম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাছির নগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের নরহা গ্রামের ফুল মিয়ার ছোট ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,রুহুল আমিন তিন বছর আগে সৌদি আরবের আলবাহা নামক এলাকায় কফিলের কাজের ৬০০ টাকা বেতনের ভিসায় আসেন। গত কিছুদিন আগে ছুটি থেকে ফিরে কফিলের কাজে যোগদান করেন কিন্তু দুই মাস বেতন পাননি।
কফিলকে আকামা নবায়ন করতে বললে কফিল নবায়ণ করেনি বলে জানিয়েছেন রুহুল আমিনের স্ত্রীর চাচাতো ভাই বেলাল হোসেন।
বেলাল হোসেন আরো জানান,রুহুল আমিন চাকরির খোঁজে জেদ্দায় এক সাপ্তাহ আগে আসেন। তার জন্য দুই তিন জায়গায় চাকরিও ঠিক করেন। কয়েক দিন আমাদের সাথে কাজও করেন। বেশ হাসি খুশি ছিল সে। আমরা একরুমে পাঁচজন থাকতাম। সবার সাথে আন্তরিক ছিল সবসময়। কিন্তু যেদিন চাকরিতে যাবে সেই দিন আমরা দোকান খোলার জন্য রুম থেকে সবাই বাইরে চলে আসি।দুপুরে আমরা যখন খেতে যাই তখন ঘরের বাইরে ছাদের একটি খুঁটির সাথে গলায় ফাঁসিদেওয়া অবস্থায় রুহুলকে দেখতে পাই।
রুহুল আমিন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে জানিয়েছেন রুহুল আমিনের স্ত্রীর বড় ভাই জহিরুল ইসলাম স্বপন।
স্বপন আরও জানান,এর আগে দেশে থাকতেও রুহুল আমিন দুই-তিনবার বিষ খেয়ে ও ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।
এদিকে মদিনায় গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করা কাশেমের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,গত ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাতের শেষ সময়ে আকামা সমস্যা,আর্থিক সমস্যা ও পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করেন বাসার আশপাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা।
কাশেম মদিনায় একটি সোফার দোকানে টেকনিশিয়ান হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন কাশেম অসুস্থ থাকায় নিজ কক্ষে ছিলেন।সৌদি আরবে তিনি আকামা সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থনৈতিক জটিলতায় ভুগছিলেন বলে জানা যায়।
আত্মহত্যাকারীদের লাশ জেদ্দা ও মদিনা মনোয়ারায় থানা পুলিশের অধীনে সৌদি সরকারি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
Copyright © 2023 বর্ণ টিভি | Design & Developed By: ZamZam Graphics