• বুধবার ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ ইং
  • সন্ধ্যা ৬:০৩

করোনা মহামারীতেও বিকাশ নগদ রকেটের উচ্চ চার্জ

13 April, 2020 PM 8:37 ১৯৬ বার দেখা হয়েছে

মহামারী করোনাভাইরাসের মধ্যেও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বিকাশ, নগদ ও রকেটের উচ্চ চার্জে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা। তারা বলছেন, দেশের এমন ক্রান্তিলগ্নেও এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন লেনদেনে বেশি মাশুল কাটছে।

এটা গ্রাহকদের প্রতি এক ধরনের অমানবিক আচরণ। দ্রুত সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। তাদের মতে, অন্তত করোনাভাইরাসের এ সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানবিক হওয়া উচিত।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুর রহমান বর্ণ টিভিকে  বলেন, হাজারে ১৮ থেকে সাড়ে ১৮ টাকা সার্ভিস চার্জ এটা অযৌক্তিক। আর মহামারীর সময় তো মোটেও এমনটি করা উচিত নয়।

অন্তত এ সময় তাদের মানবিক হওয়া উচিত। গোলাম হোসেন হেকমতিয়ার নামের একজন বিকাশ গ্রাহক বর্ণ টিভিকে বলেন , করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ দিশাহারা। সব ধরনের লেনদেনে স্থবিরতা। শুধু চাঙ্গা বিকাশ, রকেট ও নগদের লেনদেন।

সে সুযোগের অপব্যবহার করছে এসব প্রতিষ্ঠান। অন্তত এমন সময়ে গলা কাটা চার্জ থেকে তাদের বেরিয়ে আসা উচিত। রাবেয়া খাতুন নামের এক পোশাক শ্রমিক বর্ণ টিভিকে  বলেন, বেশির ভাগ শ্রমিকের অ্যাকাউন্ট বিকাশে।

কিন্তু প্রণোদনার তহবিল থেকে যে বেতন-ভাতা পাব তার বড় একটি অংশ চার্জ বাবদ বিকাশে দিয়ে দিতে হবে। এটা অনেক কষ্টের। অন্তত এ সময় যদি বিকাশের চার্জ কিছুটা কম নিত তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিকাশ বর্তমানে ক্যাশ আউট করতে প্রতি হাজারে সাড়ে ১৮ টাকা কাটে। আর ক্যাশ ইনে কোনো টাকা কাটে না। তবে এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে টাকা পাঠাতে গেলে যে কোনো অংকের জন্য কাটে ৫ টাকা। রকেটেও প্রায় একই চিত্র।

রকেটে ক্যাশ আউটে ৯ টাকা এবং ক্যাশ ইনেও ৯ টাকা কাটে। সব মিলিয়ে টাকা উত্তোলন এবং জমার ক্ষেত্রে রকেটের একজন গ্রাহককে খরচ করতে হয় ১৮ টাকা।

এছাড়া এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তিকে টাকা দেয়া-নেয়া করতে গেলে প্রত্যেক অংকের জন্য খরচ করতে হয় ৫ টাকা। তবে নগদে কিছুটা কম আছে। ক্যাশ আউটে নগদে প্রতি হাজারে কাটে সাড়ে ১৪ টাকা। ক্যাশ ইনে নেই। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির বেলায় কাটে ৪ টাকা।

বিকাশের যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বর্ণ টিভিকে   বলেন, ‘আমরা সেবার বিনিময়ে গ্রাহকের কাছ থেকে যে অর্থ নিই, তার বড় অংশই এজেন্ট, ডিলার, নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভাগ করে দিতে হয়। এটি এমন একটি সেবা, এজেন্ট ও ডিলারদের পর্যাপ্ত ইনসেনটিভ দেয়া না হলে তারা এ সেবা দিতে আগ্রহী হবেন না। এখান থেকে খুব বেশি লাভ থাকে না।’

বর্ণ টিভি