বাসন থানার ওসি একেএম কাউসার চৌধুরী জানান।
পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশকে আঘাত, সরকারি পোশাক ছেঁড়া, পুলিশকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এনে পুলিশ কনস্টেবল আশিকুর রহমান থানায় এ মামলা করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শাহাদৎ আলী জানান, শনিবার দুপুরে রুহুন নেছা প্রাইভেট কার চালিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় জাগ্রত-চৌরঙ্গীর মূর্তির উত্তর পাশ দিয়ে ডানে ইউটার্ন নিতে যান।
সে সময় মহাসড়কে কাজ চলার কারণে ওই এলাকায় দড়ি বেঁধে ‘রেশনিং পদ্ধতিতে’ ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের গাড়ি চলতে দেওয়া হচ্ছিল। রুহুন নেছা রুনা ওই দড়ি ঠেলে তার গাড়ি ডান দিকে ইউটার্ন করানোর চেষ্টা করেন বলে জানান তিনি।
“এ সময় সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল আশিকুর রহমান তাকে যেতে বলে বাধা দিলে তিনি খেপে যান। তিনি গাড়ি থেকে নেমে নিজেকে কাউন্সিলর পরিচয় দিয়ে পুলিশ কনস্টেবল আশিকুরের গালে চড় মারেন।
এরপর সেখানকার ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে কয়েকজন পুলিশ গিয়ে রুহুন নেছা রুনাকে আটক করে বাসন থানা খবর পাঠান। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
তবে রুহুন নেছা চড় মরার ভিন্ন কারন জানালেন।
প্রাইভেট কারে এক অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় ইউটার্ন নিতে যান তিনি। এ সময় পুলিশ তাকে ডান দিকে ইউটার্ন নিতে নিষেধ করে বলেন তিনি।
এ সময় তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে পুলিশকে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তাকে ওই পথে যেতে দেয়নি বলে জানান এ নেত্রী।
পরে ওই পথের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি
দেখেন-তাকে বাধা দেওয়ার ওই পথে এলামেলোভাবে অন্য গাড়ি চলাচল করছে। এ সময় তাকে বাধা দেওয়ার পথটি দিয়ে অন্য গাড়ি যেতে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে পুলিশ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে দাবি করেন তিনি।
এক পর্যায়ে পুলিশ তার ‘বুকের কাছে গিয়ে অশালীন আচরণ করে’ দাবি করে ‘নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে’ ওই পুলিশ কনস্টেবলকে চড় মারেন বলে স্বীকার করেন তিনি।
তবে কাউন্সিলর রুনার সঙ্গে পুলিশের অশালীন আচরণের কথা অস্বীকার করে বাসন থানার ওসি একেএম কাউসার চৌধুরী
পুলিশ জানিয়েছেন রোববার এই যুব মগিলা লীগ নেত্রীকে আদালতে হাজির করা হবে।
গ্রেপ্তার রুহুন নেছা রুনা গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩১, ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর।
Copyright © 2023 বর্ণ টিভি | Design & Developed By: ZamZam Graphics